জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বিপরীতে পাশে ঐতিহ্যবাহী স্মৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বাহাদুর শাহ পার্ক। সকাল কিংবা বিকাল শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের পদচারণায় মুখরিত থাকে পার্কটি। বিশেষ করে ডায়াবেটিসরোগী সহ অন্যান্যরোগীরা নিয়ম করে হেটে বেড়ান এখানে। যাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষের বয়স ৫০ এর ওপরে।
এ ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মহানগর মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীরা এ পার্কে এসে গ্রুপ স্টাডি ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান।
সম্প্রতি তাদের চলাচলে তৈরি হচ্ছে বিঘ্নতা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পার্কের মাঝখানে নির্মিত হতে যাচ্ছে ক্যান্টিন যা পার্কের সৌন্দয্যের সাথে বেমানান।
পার্কে ভ্রাম্যমাণ কয়েকজন লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, সম্প্রতি ক্যান্টিন নির্মান করা শুরু হলে সেটা ভেঙ্গে ফেলা হয় এরপর দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এর ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে যেন কেউ আর ভাঙ্গতে সাহস না পায়।
পার্কে কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা কেউ ই চাচ্ছে না এই ছোট একটি পার্কের মাঝখানে একটি ক্যান্টিন হউক। বড় পার্ক হলে সেটা ভিন্ন কথা ছিল। তাদের অভিযোগ আজকে এটা চালু হলে দুদিন পর আরেকটা চালু হবে তাহলে পার্কের যে আসল উদ্দেশ্য তথা সকাল বিকাল হাটার ব্যবস্থা তা ধীরে ধীরে কমে যাবে।
ক্যান্টিন নির্মাণ করতে যারা পেয়েছেন তারা বলছেন, আমরা কাজ শুরু করেছি। কাজটি সম্পূর্ণ হলে লাইটিং হবে। পার্কটি জাঁকজমক হবে, পরিচ্ছন্ন থাকবে। পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে নাগরিক সেবা নিশ্চিত হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।